পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া : বাংলা
কবিতা : সংকল্প- মো:হাবিবুর রহমান ওবায়েদ, শাখা পরিচালক, শাহীন স্কুল, সাভার শাখা
- ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ০০:০৫
সুপ্রিয় পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী বন্ধুরা, শুভেচ্ছা নিয়ো। আজ তোমাদের বাংলা বিষয়ের ‘কবিতা : সংকল্প’ থেকে আরো ৬টি প্রশ্নোত্তর নিয়ে আলোচনা করা হলো।
প্রশ্ন : কবি বদ্ধঘরে থাকতে চান না কেন?
উত্তর : অজানাকে জানার, অদেখাকে দেখার কৌতূহল মানুষের চিরন্তন। কবিও এর ব্যতিক্রম নন। তিনি বদ্ধঘরে থাকতে চান না। কারণ, তিনি জগতের সব রহস্য জানতে চান। তিনি জানতে চান সারা বিশ্বের মানুষ যুগ যুগ ধরে কিভাবে নিত্যনতুন আবিষ্কারের নেশায় মৃত্যুভয়কে তুচ্ছজ্ঞান করে এগিয়ে চলছে। সমুদ্রের তলদেশে গিয়ে ডুবুরি কিভাবে মুক্তা সংগ্রহ করে কিংবা দুঃসাহসী বৈমানিক কিভাবে আকাশে পাড়ি জমায়- এসব কিছুও কবি জানতে চান। বদ্ধঘরে আবদ্ধ না থেকে কবি রহস্যঘেরা অসীম বিশ্ব তথা বিশ্বজগতটাকে হাতের মুঠোয় পুরে পরখ করে দেখতে চান।
প্রশ্ন : সংকল্প কবিতার মূলভাব লিখ।
উত্তর : সংকল্প কবিতার মূলভাব নিচে লেখা হলো :
কিশোর মন চিরকৌতূহলী। সে জানতে চায় বিশ্বের সব কিছু। আবিষ্কার করতে চায় অসীম আকাশের সব অজানা রহস্য। বুঝতে চায় কেন মানুষ অসীমে, অতলে, অন্তরীক্ষে ছুটছে, বীর কেন জীবন বিপন্ন করে মৃত্যুকে বরণ করছে। সে আরো জানতে চায় ডুবুরি কেমন করে গভীর পানিতে ডুব দিয়ে মুক্তা আহরণ করছে, দুঃসাহসী অভিযাত্রী কেমন করে আকাশের দিকে উড়ে চলছে। কিশোর মন তাই দৃঢ়প্রতিজ্ঞ বদ্ধঘরে আবদ্ধ না থেকে এই পৃথিবীর সব কিছু সে ঘুরেফিরে দেখবে।
প্রশ্ন : যুগান্তরের ঘূর্ণিপাকে মানুষ ঘুরছে বলতে কী বুঝ লিখ।
উত্তর : ‘যুগান্তর’ শব্দটির অর্থ হলো এক যুগের পর আরেক যুগ। দেশী গণনা মতে, ১২ বছরে এক যুগ হয়। আপন গতিতে এগিয়ে যাওয়া সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তন হয় পৃথিবীর অনেক কিছু। নতুন নতুন রহস্য ও ঘটনার সৃষ্টি হয়। সময়ের গতির সাথে তাল মিলিয়ে মানুষও এগিয়ে চলে রহস্য অনুসন্ধান ও ঘটনার মূল উদঘাটনের জন্য। যুগের পরিবর্তনের সাথে সাথে মানুষের এই এগিয়ে যাওয়ার কৌতূহলী প্রবণতাকে বুঝানোর জন্যই বলা হয়েছে যুগান্তরের ঘূর্ণিপাকে মানুষ ঘুরছে।
প্রশ্ন : চন্দ্রলোকের অচিনপুরে কারা যেতে চায়?
উত্তর : ‘চন্দ্রলোক’ কথাটির অর্থ হলো চাঁদের দেশ। বিশ্বের মানুষের কাছে এই দেশ একটি অজানা-অচেনা জায়গা। অজানা-অচেনা জায়গা সম্পর্কে মানুষ চিরকালই কৌতূহলী। আর এই কৌতূহলী মানুষই চন্দ্রলোকের অচিনপুরে যেতে চায়। পৃথিবীর এই দুঃসাহসী মানুষ হাউই চড়ে চন্দ্রলোকের অচিনপুর অভিযান সফল করতে চায়। জানতে চায় অচিনপুর চন্দ্রলোকের অজানা সব রহস্য।
প্রশ্ন : কিসের আশায় বীর মরণকে বরণ করছে?
উত্তর : লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য বীরেরা মৃত্যুর মতো কঠিন যন্ত্রণাকেও সাদরে গ্রহণ করে থাকে। রহস্য ভেদ করা, নতুন কিছু সৃষ্টি করা, অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করে বিজয়ী হয়ে ন্যায় প্রতিষ্ঠা করা এবং অজানাকে জানার আশায় বীর মরণকে বরণ করছে।
প্রশ্ন : কবি হাতের মুঠোয় পুরে কী এবং কেন দেখতে চান?
উত্তর : কবি হাতের মুঠোয় পুরে বিশ্বজগৎ দেখতে চান। কারণ, বিশ্বজগতজুড়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে অনেক রহস্য। অজানা সেসব রহস্য ভেদ করে তিনি সত্যিটা জানতে চান। আবিষ্কার করতে চান অসীম আকাশের সব অজানা রহস্য। বুঝতে চান কেন মানুষ অতলে, অন্তরীক্ষে, অসীমে ছুটছে। এই জানার মধ্য দিয়ে তিনি তার অদম্য কৌতূহলের সফল প্রকাশ দেখতে চান।